01759834191
Chat With Supplier পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন।
বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন
করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷
আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷
অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷
রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম দেশের অন্যতম সেরা আমের খ্যাতি অর্জন করেছে। দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে সুস্বাদু এ আম। এ বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ২০ ভাগ আম ঝরে গেছে। তার পরেও এবার ২০০ কোটি টাকার হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করার আশা করছেন এ অঞ্চলের আমচাষিরা। জুন মাসের শেষের দিকে এ আম বাজারে আসবে। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সরোয়ারুল আলম জানান, এ বছর রংপুরে এক হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আম হয়েছে। আম্পানের সামান্য ক্ষতি হলেও প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি। হাঁড়িভাঙা আম চাষে কোনও ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকায় হাঁড়িভাঙা আম প্রথম উৎপাদন করেন কৃষক সালাম। আঁশমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় এ আমের চাহিদা এখন সারা দেশে। এখন বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর , পদাগঞ্জ কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট সর্দারপাড়া, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের কাঁটাবাড়ি, পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান গড়ে উঠেছে। মূলত লাল মাটিতে এ আমের চাষ ভালো হয়। গত বছর আমের দাম ভালো পাওয়ায় আরও নতুন নতুন আম বাগান গড়ে তুলেছেন এ এলাকার সাধারণ মানুষ। এবার হাঁড়িভাঙা আমের ফলনও হয়েছে বাম্পার। বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার ৭০টি গ্রামের মানুষ এই আম চাষ করে তারা এখন স্বাবলম্বী।
তবে ক্ষুদ্রচাষিদের অভিযোগ, তারা আমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে তারা আরও বেশি লাভবান হতেন। বড় ব্যবসায়ীরা আগাম টাকা দিয়ে আমের বাগান কিনে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন বেশি। তারা আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এবার হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়েছে
সরেজমিন বদরগঞ্জ উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকায় সারি সারি আমের বাগান দেখা গেছে। প্রতিটি বাড়িতে ১০ থেকে ১৫টি, কোনও বাড়িতে তার চেয়ে বেশি হাড়িভাঙ্গা আমের গাছ রয়েছে। আর ১৫-২০ দিনের মধ্যে সবগুলো গাছের আম পাকবে বলে আমচাষিরা জানালেন। ওই এলাকার কৃষক মমতাজ উদ্দিন, আয়েন উদ্দিন, মোসলেমা বেগমসহ অনেকেই জানালেন আট-দশ বছর আগেও এসব এলাকার মানুষের ছিল চরম অভাব। তিন বেলা তো দূরের কথা, এক বেলাও খাবার জুটতো না। এলাকাটির মাটি লাল হওয়ায় এখানে বছরে একবার ধান উৎপাদন হতো। বাকি আট মাস পতিত পড়ে থাকতো জমি। কিন্তু হাঁড়িভাঙা আম তাদের ভাগ্যের চাকা বদলে দিয়েছে। এখন ওই জমিতে আমের বাগান গড়ে তুলেছেন তারা। আম বিক্রি করে তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। যাদের জমি নেই সেইসব পরিবারগুলো বাস্তুভিটাতেই হাঁড়িভাঙা আম গাছ লাগিয়ে ভালোভাবেই জীবন যাপন করছেন।
এলাকাবাসী জানালেন, পদাগঞ্জ হাট এখন দেশে অতি পরিচিত। কারণ, এখানে আমের মৌসুমে হাঁড়িভাঙা আমসহ বিভিন্ন ধরনের আমের পাইকারি বাজার বসে। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এখান থেকে আম কিনে নিয়ে যায়।
হোসনে আরা নামে এক নারী জানান, পাঁচ বছর আগে তার স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তান নিয়ে আনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটতো তার। স্বামীর রেখে যাওয়া চার বিঘা জমিতে আমের বাগান করে প্রতি বছর আম বিক্রি করেই তিন-চার লাখ টাকা আয় হয় তাদের। এখন তিনি সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করাচ্ছেন।
এ বছর এই আম সুষ্ঠুভাবে বাজারজাত করার বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা, রংপুরের বদরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে পদাগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসক আসিব আহসান এক মত বিনিময় সভা করেছেন। সভায় রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যাতে ব্যবসায়ীরা যাতে হাঁড়িভাঙা আম কিনে নিয়ে যেতে পারেন সেজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘হাঁড়িভাঙা আম যাতে নিরাপদে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকাররা নিয়ে যেতে পারেন সে জন্য গাড়িতে বিশেষ স্টিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও পথে যাতে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার না হন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে যাতে মানুষ আম নিয়ে যেতে পারে সেজন্য নগরীর কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ কুরিয়ার সার্ভিসের শাখা খোলারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার একটি আম এখন বেশ জনপ্রিয়। নাম হাঁড়িভাঙা।হাঁড়িভাঙা আম জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। পুষ্ট ও পাকা হাঁড়িভাঙার শাঁস থেকে টক-মিষ্টি ঘ্রাণ পাওয়া যায়। পাকা আম মাঝারি মাত্রার তীব্র সুগন্ধ ছড়ায়। গোলাকার আমটি বেশ মিষ্টি। নিচের দিকের তুলনায় বোঁটার দিকে কিছুটা মোটা। নিচের দিকে যেখানে ভাঁজ থাকে, সেই স্থানটি অন্য আমের তুলনায় একটু উঁচু। এই জায়গাটিই হাঁড়িভাঙা আমকে অন্য আম থেকে আলাদা করেছে।কাঁচা অবস্থায় এই আমের রং সবুজ, পুষ্ট হলে কিছুটা সাদাটে হয়। পাকা অবস্থায় বোঁটার কাছাকাছি জায়গাটা বেশ হলুদ হয়। ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে হালকা হলুদ হতে থাকে। শাঁস আঁশবিহীন, পুরু এবং আঁটি বেশ পাতলা। ওজন ১৫০-৪৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ খাওয়া যায়। হাঁড়িভাঙা আমের গাছ প্রায় পাঁচ-ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ১৫ ফুট পর পর ধরে প্রতি একরে প্রায় ১০০ চারা রোপণ করা যায়। ফলন ভালো হলে পাঁচ বছর বয়সী প্রতিটি গাছের আম বিক্রি করে গড়ে চার হাজার টাকা করে পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে মিঠাপুকুর ছাড়াও রংপুরের বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ, পীরগাছাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় হাঁড়িভাঙা আম চাষের বিস্তার ঘটছে। এ অঞ্চলে এটি এখন একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সুস্বাদু হাঁড়িভাঙা আমের জন্য বিখ্যাত রংপুর অঞ্চল। তাই দেশজুড়ে এ আমের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন রংপুরের আমচাষীরা। রংপুর অঞ্চলের আমচাষীদের সহায়তায় কম খরচে ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙা আম পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১ জুলাই থেকে আম পরিবহনে ট্রাক সার্ভিস চালু করবে বিআরটিসি ও ডাক বিভাগ।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে (রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা) প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আম হয়েছে প্রায় তিন হাজার হেক্টরে, যার অধিকাংশই রংপুর জেলায় (প্রায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর)। জেলায় হাঁড়িভাঙা আমের ফলন ধরা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টন, যার আনুমানিক মূল্য ১৫০ কোটি টাকা। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরিবহন জটিলতায় লোকসানে পড়েছেন আমচাষীরা।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্রাংকলরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. সুমন বলেন, কৃষিপণ্য পরিবহনে (ধান, চাল ও ভুট্টা) রংপুর থেকে ঢাকায় ছয় চাকা ট্রাকের ভাড়া ১২-১৩ হাজার টাকা। তবে কাঁচামাল (পচনশীল পণ্য) পরিবহনে ভাড়া ১৫-১৬ হাজার টাকা। ওই পণ্য চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে খরচ হবে আরো বাড়তি ৪-৫ হাজার টাকা।
যদিও বাস্তবে তার দেয়া তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রংপুর-ঢাকা ও রংপুর-চট্টগ্রাম রুটের জন্য পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাকের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত আরো ৪-৫ হাজার টাকা।
বিশেষ ট্রাক সার্ভিস চালুর দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর থেকে ঢাকায় বিআরটিসির ট্রাকে আম পরিবহনের জন্য চাষীদের ন্যায্য ভাড়ার অর্ধেক এবং ডাক বিভাগের ট্রাকে আম পরিবহনের জন্য আরো কম টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬টি ট্রাক আম পরিবহন করবে। তবে ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো নির্ভর করবে আমের প্রাপ্তি সাপেক্ষে।
মিঠাপুকুর উপজেলার ১ নং খোড়াগাছ ইউনিয়নের আমচাষী আব্দুস সালাম সরকার বলেন, এবার ১৪ একর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের চাষ করেছি। অন্যান্য বছর মৌসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ আম বাগান কিনে নিতেন। এছাড়া কীটনাশক ব্যবসায়ীরা বাকিতে কীটনাশক দিয়ে যেতেন। কিন্তু করোনার কারণে এবার কীটনাশক বাকিতে পাওয়া যায়নি, শ্রমিক সংকটও ছিল। ফলে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে চাষীদের। তার ওপর পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা ছিল। এ অবস্থায় সরকার ট্রাক সার্ভিস চালু করায় আমার মতো অনেকেই উপকৃত হবে।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম বলেন, শুধু আম নয়, রংপুর বিভাগের বিদ্যমান ট্রেন সার্ভিসে মালবাহী বগি সংযোজন করে পচনশীল কৃষিপণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করলে এ অঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেতেন।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বণিক বার্তাকে বলেন, ২০ জুন থেকে ট্রাক সার্ভিস চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে তা চালু করা যায়নি। ১ জুলাই থেকে এ সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর ২০ জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায় রংপুরের ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙা আম।
আমটির ‘ইতিহাসের’ গোড়াপত্তন করেছিলেন নফল উদ্দিন পাইকার নামের এক বৃক্ষবিলাসী মানুষ। শুরুতে এর নাম ছিল মালদিয়া। আমগাছটির নিচে তিনি মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে পানি দেয়া হতো। একদিন রাতে কে বা কারা ওই মাটির হাঁড়িটি ভেঙে ফেলে। ওই গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরে। সেগুলো ছিল খুবই সুস্বাদু। সেগুলো বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে গেলে লোকজন ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। তখন চাষি নফল উদ্দিন মানুষকে বলেন, ‘যে গাছের নিচের হাড়িটা মানুষ ভাঙছিল সেই গাছেরই আম এগুলা।’ তখন থেকেই ওই গাছটির আম ‘হাড়িভাঙ্গা আম’ নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আমের মাতৃ গাছটির বয়স ৬৩ বছর।চলবে........
হাঁড়িভাঙা আমের আরও তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমাদের Facebook page A+ Organic Food BD তে।
আমি আবদুল ওয়াহিদ। ঢাকা থেকে কাজ করছি Organic Food নিয়ে।
Founder & CEO “ A+ Organic Food BD “
Facebook page A+ Organic Food BD
অরগানিক হাঁড়িভাঙা আম ”পেতে যোগাযোগ রাখুন ইনবক্স-এ অথবা ০১৭৫৯৮৩৪১৯১।
বিস্তারিত জানতে visit করুন আমাদের Facebook page A+ Organic Food BD তে।
4.1 average based on all reviews.
3M™ Tegaderm™ Transparent Film Dressing 1623W, 2-3-8 in x 2-3-4 in (6 cm x 7 cm)
৳5,200.00 - ৳5,200.00
বিস্তারিত পড়ুনGarnier Men Power White Anti-Dark Cells Fairness Face Wash - 100g
৳TK250.00 - ৳TK250.00
বিস্তারিত পড়ুন